সেদিন ছিল সোমবার ১৯ শে এপ্রিল ১৯৭১, সকাল ১১টা...
জয়পুরহাট শহর থেকে আট কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে কড়ই কাদিরপুর গ্রামের মানুষেরা হঠাৎ চুমকে উঠে গ্রামের পশ্চিম পাশের ঘড় বাড়িতে আগুন আর গুলির শব্দে ।
গুলির শব্দে আর আগুন দেখে আতঙ্কিত মানুষ প্রান ভয়ে দৌড়ে বাড়ির বাহিরে বের হয়ে দেখে ছোট্ট গ্রামটিতে ততক্ষনে মৌলবী আব্দুল মান্নান ও হাফিজ বিহারীর নেত্রীত্ত্বে পাকিস্তানী সেনাবাহীনি ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদররা ঘিরে ফেলেছে ।
বৈশাখের তপ্ত দিনে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো গ্রামটিতে।
রাইফেলের মুখে পাকিস্তানী হায়নারা গ্রামের সকল বয়সের পুরুষ মানুষকে এনে একত্রে জড়ো করে এই গ্রামের রাস্তা সংলগ্ন একদম পুকুরের পাড়ে । নির্বিচারে নিরিহ গ্রামবাসীর উপর গুলি চালাই পিছাচ পাকিস্তানী সেনাবাহীনি ।
তৎকালীন স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের প্ররোচনায় কোনরকম উস্কানী ছাড়াই পাক সেনারা ৩৭১ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে । স্বাধীনতা যুদ্ধে এতবড় স্মৃতি বহুল বেদনাদায়ক স্থানে স্বাধীনতার এত বছর পরেও উক্ত স্থানে এখনো স্মৃতিশৌধ বা ফলক নির্মাণ করা ছিলনা । পরে ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে এই নতুন স্মৃতি ফলক তৈরীর কাজ শুরু হয় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস